নিজের প্রচেষ্টায় যে সব কিছু করা সম্ভব
এমনটাই প্রমান করলেন ভোলার এক যুবক।
তিনি উদ্ভাবন করেছেন জ্বালানি বিহীন মোটরসাইকেল। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তিনি মোটরসাইকেলটি আবিষ্কার করেন। যা কোন ধরনের তেল-গ্যাস ছাড়া ধোঁয়া বিহীন শতভাগ পরিবেশ বান্ধব। আর মোটর সাইকেলটি চলাতে প্রতি ১৫০কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ১২টাকা। দীর্ঘ ২ বছর চেষ্টার পর ব্যাটারি চালিত মোটর সাইকেলটি উদ্ভাভন করেছেন ভোলা সদর উপজেলার উকিল পাড়ার মোটর মেকানিক মৃত মীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে মীর ইব্রাহিম হোসেন রাজু।
তিনি উদ্ভাবন করেছেন জ্বালানি বিহীন মোটরসাইকেল। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তিনি মোটরসাইকেলটি আবিষ্কার করেন। যা কোন ধরনের তেল-গ্যাস ছাড়া ধোঁয়া বিহীন শতভাগ পরিবেশ বান্ধব। আর মোটর সাইকেলটি চলাতে প্রতি ১৫০কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ১২টাকা। দীর্ঘ ২ বছর চেষ্টার পর ব্যাটারি চালিত মোটর সাইকেলটি উদ্ভাভন করেছেন ভোলা সদর উপজেলার উকিল পাড়ার মোটর মেকানিক মৃত মীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে মীর ইব্রাহিম হোসেন রাজু।
পড়া-শুনার ফাঁকে বাবার মোটর গ্যারেজ আসা
যাওয়ার মাধ্যমে আগ্রহটা তৈরি। অবশেষে মাধ্যমিকের গন্ডি পাড় করে যখন
ভকেশনালের ছাত্র ঠিক তখন বাবার মৃত্যু। গ্যারেজের দায়িত্ব এবার নিচের কাধে।
সংসার চালাতে কলম ছেলে হাতে তুলে নেন লোহার যন্ত্রপাতি। কঠিন কাজ তবুও
করতেই হবে। শুরু হয় কিশোর রাজুর জীবন সংগ্রাম। গ্যারেজে কাজ করার ফাকেই
শুরু করেন জ্বালানি বিহীন মোটর সাইকেল তৈরীর কাজ। দেখতে দেখতে একসময় তিনি
তার লক্ষ্যেও পৌছেযান।
সরেজমিনে মঙ্গলবার ভোলা সদর উপজেলার
বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মীর ইব্রাহিম হোসেন রাজুর
মোটর গ্যারেজে গেলে এমন সব কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে তেল বিহীন
মোটরসাইকেল তৈরীর কাজ শুরু করেন। একটানা ২ বছর সাধনার পর এটি তৈরী করতে
সক্ষম হন তিনি। দীর্ঘ গবেষণায় তার কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা ব্যয় হলেও বর্তমানে
এটি তৈরীতে ৮৫ হাজার টাকা ও ১৫দিন সময় লাগে। মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন চালাতে
১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারির ও পাওয়ার কন্টোল বক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আর
ব্যাটারি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা।
প্লাস্টিক, ব্যাটারি, লোহা ও
অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী এ মোটর সাইকেলটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে কোনো
প্রতিষ্ঠান বা সরকার এগিয়ে এলে পরিবেশবান্ধব মোটরসাইকেলটি দেশের জ্বালানি
খরচ কমানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন
তিনি।
No comments:
Post a Comment